ব্রাজিলের এক কোম্পানির কাছ থেকে অর্থ নিয়ে নির্বাচনি প্রচারে ব্যয় করার দায়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট ওলান্তা হুমালা ও তার স্ত্রী নাদিন হেরেদিয়াকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে পেরুর এক আদালত। এই রায়ের পর বর্তমানে জেলে রয়েছেন সাবেক এই প্রেসিডেন্ট। অন্যদিকে একই মামলায় সাজা পাওয়া তার স্ত্রী নাদিন হেরেদিয়া আশ্রয় পেতে বুধবার ব্রাজিলে পৌঁছেছেন।
এর আগে অর্থপাচারের মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) লিমার একটি আদালত দুজনকে ১৫ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন।
ব্রাজিলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হুমালার স্ত্রী নাদিন হেরেদিয়া আশ্রয় চেয়ে ব্রাজিলের রাজধানীতে পৌঁছেছেন।
হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়, হুমালা তার প্রথম রাত কাটিয়েছেন সেই জেলখানায়, যেখানে আরো দুই সাবেক রাষ্ট্রপতি — আলেহান্দ্রো টোলেদো এবং পেদ্রো কাস্তিলো আগে থেকেই বন্দী। এই ইউনিটটি বিশেষভাবে সাবেক নেতাদের রাখার জন্য তৈরি করা হয়েছে।
হুমালার আইনজীবী হুলিও এস্পিনোসা স্থানীয় রেডিও আরপিপি-কে জানান, স্থানীয় সময় বুধবার ভোর ৪টার দিকে ব্রাজিলের বামপন্থী প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভার প্রেরিত একটি বিমানে হেরেদিয়া এবং তার তিন সন্তান ব্রাসিলিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
তার ব্রাজিলীয় আইনজীবী মার্কো অরেলিও ডে কারভালিও রয়টার্সকে জানান, তিনি পরে দিনের বেলায় সাও পাওলো যান, যেখানে তিনি থাকবেন।
পেরুর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দুই দেশের সরকারের আলোচনার পর হেরেদিয়া এবং তার সন্তানকে ব্রাজিলে যাওয়ার জন্য নিরাপদ পথ প্রদানের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তা হুমালা ২০১১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত পেরুর প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তিনি হলেন পেরুর দ্বিতীয় সাবেক প্রেসিডেন্ট যিনি জেল খাটছেন এবং চতুর্থ যিনি ওডেব্রেচট কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত হয়েছেন।
সাবেক ওডেব্রেচট নির্বাহীরা পেরুর আদালতে বলেছেন, এই প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ৩০ বছর ধরে দেশের প্রায় সব প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের অর্থায়ন করেছে।
আরএম/টিএ