ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) দুটি আলোচনার ঘটনার তদন্তে নিযুক্ত টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন এনামুল হক মনি। গত ১৮ এপ্রিল সিসিডিএম চেয়ারম্যান বরাবর চিঠি দিয়ে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন তিনি।
ডিপিএলে আবাহনী-মোহামেডান হাইভোল্টেজ ম্যাচে আইসিসির এলিট প্যানেলের আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকতের সঙ্গে অশোভন আচরণ করে দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ হন মোহামেডান অধিনায়ক তাওহীদ হৃদয়।
এছাড়া গুলশান-শাইনপুকুর ম্যাচে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের দুই ক্রিকেটার মিনহাজুল আবেদীন সাব্বির ও রহিম আহমেদ স্বেচ্ছায় আউট হওয়ায় স্পট ফিক্সিংয়ের গন্ধ পাচ্ছেন অনেকে।
এই দুই ঘটনা তদন্তের দায়িত্ব ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিশ (সিসিডিএম) দিয়েছিল টেককিন্যাল কমিটিকে। চিফ আম্পায়ার্স কোচ মনিকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের ওই টেকনিক্যাল কমিটিতে অন্য দুই সদস্য ম্যাচ রেফারি সেলিম শাহেদ এবং আম্পায়ার্স কমিটির ইনচার্জ আভি আবদুল্লাহ নোমান। তবে তদন্ত পুরোপুরি শেষ হওয়ার আগেই আহ্বায়ক পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন মনি।
টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক পদ থেকে বিসিবির বেতনভুক্ত চিফ আম্পায়ার্স কোচের পদত্যাগের খবরে বিস্মিত হয়েছেন আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান মিঠু।
মনির পদত্যাগ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে তিনি বলেন, ‘সিসিডিএম একটা টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করতে চেয়ে আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আমরা তিনজনকে মনোনীত করে তাদের নাম সিসিডিএম-এ পাঠিয়ে দিয়েছি। ওনারা আইন অনুযায়ী যে বিচার করার দরকার, সেই সুপারিশ করবেন। কিন্তু একটি ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট দেয়ার আগে কমিটির আহ্বায়ক কী করে পদত্যাগ করেন। শারীরিক এবং ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করলেও মানা যেতো। উনি তো বিসিবির চাকরি করেন। এটাও তো মাথায় রাখা দরকার ছিল।’
পদত্যাগের বিষয়ে চিফ আম্পায়ার্স কোচ মনির বক্তব্য জানা যায়নি।
এমআর/টিএ