ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে অসম্মতি জানালে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে ফ্রান্স। মঙ্গলবার (১৩ মে) ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়তে পারে আর্থিক পরিষেবা, তেল ও গ্যাস খাত। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
সংবাদমাধ্যম টিএফওয়ানে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, রাশিয়া যুদ্ধবিরতিতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের ওপর আগামী কয়েকদিনের মধ্যে নিষেধাজ্ঞা জারি করা আমাদের বিবেচনায় রয়েছে। এই সম্ভাবনা মাথায় রেখেই আমরা সবকিছু সমন্বয় করছি।
ম্যাক্রোঁর আগে জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রেডরিখ মার্জ প্রায় একই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, যুদ্ধবিরতিতে আপত্তি জানালে ইউরোপীয় মিত্ররা মস্কোর ওপর ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা জারি করবে। এর আওতায় থাকবে জ্বালানি ও আর্থিক খাত।
ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যঁ-নোয়েল বারোও সোমবার জানান, উল্লিখিত খাতগুলো বিবেচনা করে ইউরোপীয় কমিশনকে নতুন নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব তৈরির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি এবং পোল্যান্ডের নেতারা শনিবার এক যৌথ বিবৃতিতে হুঁশিয়ারি দেন, রাশিয়া শিগগিরই ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে রাজি না হলে নতুন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তবে এসব হুমকি ধামকিকে থোড়াই পরোয়া করে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন বরং পাল্টা প্রস্তাব দিয়েছেন, ১৫ মে ইস্তাম্বুলে কিয়েভের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসতে আগ্রহী মস্কো। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার এই পদক্ষেপ সমর্থন করেছেন।
বিশ্লেষকদের অভিমত, ট্রাম্পের এই অবস্থান ইউরোপীয় নেতাদের ঐক্য দেখানোর প্রচেষ্টাকে দুর্বল করেছে।
ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরুর পর রাশিয়ার ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইতোমধ্যে ১৬টি নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজ আরোপ করেছে। কূটনীতিকদের মতে, ইউরোপের ২৭ সদস্য দেশের সর্বসম্মতি ছাড়া নতুন বড় নিষেধাজ্ঞা পাস করা দিন দিন কঠিন হয়ে পড়ছে।
এসএম/টিএ