খেলাধুলার পাশাপাশি ক্রীড়াবিদদের দাতব্য কাজে যুক্ত থাকা নতুন কিছু নয়। গত বছর ফুটবলকে বিদায় বলা টনি ক্রুসও দাতব্য কাজের সঙ্গে যুক্ত। সামাজিক কাজে অবদানের জন্য শুক্রবার (১৮ জুলাই) তাকে সম্মানিত করেছে মেকলেনবার্গ-ওয়েস্টার্ন পোমেরানিয়া রাজ্য।
ক্রুস সম্মানিত হয়েছেন রাজ্যের অর্ডার অব দ্য মেরিট পদক পেয়ে। ভল্কস্টেডিয়নে রাজ্য মন্ত্রী ম্যানুয়েলা শেসিগ তার হাতে পদক তুলে দেওয়ার আগে শহরের প্রবেশদ্বার গ্রেইফসওয়াল্ডের নাম ক্রুসওয়াল্ডে পরিবর্তন করা হয়। এই শহরেই জন্ম হয়েছিল ক্রুসের। জার্মান গণমাধ্যম বলছে, ক্রুসওয়াল্ড নামটি এক সপ্তাহ স্থায়ী হবে।
গ্রেইফসওয়াল্ড এসসিতে টনি ক্রুসের ফুটবলে হাতেখড়ি হয়েছিল। কয়েকটি ক্লাব ঘুরে ২০০৬ সালে বায়ার্ন মিউনিখে নাম লেখান তিনি। পরের বছর সিনিয়র দলে অভিষেক হয়। ২০০৯ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ধারে বেয়ার লেভারকুসেনে খেলার পর ২০১৪ সালে পাড়ি জমান রিয়াল মাদ্রিদে। তিনি শেষ পেশাদার ম্যাচটি খেলেন জার্মানির হয়ে।
দেশের হয়ে বিশ্বকাপসহ ফুটবল ক্যারিয়ারে মোট ৩৪টি ট্রফি জেতা টনি ত্রুস জার্মানির সমৃদ্ধ খেলোয়াড়দের একজন। দেশের জার্সিতে ১১৪ ম্যাচে ১৭টি গোল ও ২১টি অ্যাসিস্ট করেন ক্রুস। বায়ার্নের হয়ে ২০৫ ম্যাচে ২৪টি গোল করেন ক্রুস। অ্যাসিস্ট করেছেন ৪৯টি। জার্মান ক্লাবটির হয়ে ১০টি শিরোপা স্পর্শ করেন তিনি। ছিল একটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, একটি ক্লাব বিশ্বকাপ, তিনটি বুন্দেস লিগা , তিনটি জার্মান কাপ, একটি জার্মান সুপার কাপ এবং একটি উয়েফা সুপার কাপ শিরোপা।
২০১৪ সালে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দিয়ে ৪৬৫ ম্যাচ খেলে করেন ২৮টি গোল। অ্যাস্টিট ৯৯টি। লা লিগা জায়ান্টদের হয়ে ২৩টি শিরোপা জেতেন। এরমধ্যে আছে পাঁচটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, পাঁচটি ক্লাব বিশ্বকাপ, চারটি লিগ শিরোপা, চারটি স্প্যানিশ সুপার কাপ, চারটি উয়েফা সুপার কাপ এবং একটি স্প্যানিশ কাপ আছে তার ঝুলিতে।
এমকে/টিকে