বাংলাদেশের কাছে পাকিস্তানের হার, ব্যাটিং ব্যর্থতায় ক্ষুব্ধ সাবেক ক্রিকেটার বাসিত আলী

দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের কাছে ৮ রানে হেরে গেছে পাকিস্তান। ১৩৪ রানের ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে তারা এক পর্যায়ে মাত্র ১৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে। টপ অর্ডারের ছয় ব্যাটারই এক অঙ্কে থেমেছেন। এই ব্যাটিং বিপর্যয়ের কড়া সমালোচনা করেছেন সাবেক ক্রিকেটার বাসিত আলী।

নিজের ভিডিওর শুরুতেই পাকিস্তানের ব্যাটিং স্কোরকে ব্যঙ্গ করে বাসিত বলেন, ‘চলুন একটা ফোন নাম্বার দিই: ৮, ১, ০, ৯, ০, ০, ১৩। না, এটা আমার ফোন নাম্বার না, এটা আমাদের টপ অর্ডারের রান আজকের ম্যাচে। এটাকেই কি তোমরা নতুন ট্যালেন্ট বলো?’



বাংলাদেশের প্রশংসা করতে ভোলেননি তিনি। তিনি বলেন, ‘লজ্জার বিষয় আমাদের ব্যাটাররা ১৩৩ রানও তুলতে পারলো না। কিন্তু কৃতিত্ব দিতে হবে বাংলাদেশকে। ওরা খুব ভালো খেলেছে এবং জয়টা একদম প্রাপ্য ছিল। ওরা ১৩৩ রান যেভাবে ডিফেন্ড করেছে, অসাধারণ ছিল।’

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের প্রশংসা করে বাসিত বলেন, ‘হ্যাঁ, বাংলাদেশ আমাদের দেশে এসে ৩-০ তে সিরিজ হেরেছিল। কিন্তু এটা ভিন্ন এক বাংলাদেশ। এখন ওরা টপ ক্লাস ক্রিকেট খেলছে। টুপি খোলা শ্রদ্ধা ওদের জন্য। ওরা আমাদের দলের সামনে আয়না ধরে দিয়েছে।’

পাকিস্তানের কথিত ‘মডার্ন ক্রিকেট’ এবং ‘পাওয়ার হিটিং’-এর কথাও কটাক্ষ করেছেন তিনি। 

তার কথা, ‘ওরা বলেছিল ২০০ রান করবে, ইন্টেন্ট দেখাবে, ভয়হীন ক্রিকেট খেলবে। সব গেল কোথায়? বাংলাদেশ তো করলো মাত্র ১৩৩, ২০০ থেকে ৬৭ রান কম, তাও হারলাম! টস জিতেছি কিন্তু ম্যাচ হেরেছি।’

তবে কিছুটা প্রশংসাও করেছেন ফাহিম আশরাফ, আব্বাস আফ্রিদি এবং আহমেদ দানিয়ালের।

 তিনি বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, পাকিস্তান ৩০ রানে হারার যোগ্য ছিল। কিন্তু ফাহিম আর লোয়ার অর্ডারের কারণে ৮ রানে হেরেছি। তবে হার তো হারই।’

শেষ দিকে বাসিত আলী বাংলাদেশের ব্যাটারদের অবদান তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘জাকের আলী ৫৫ রানের পরিণত ইনিংস খেলেছে। মাহেদী হাসানও ৩৩ রান করেছে, যেটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। বাংলাদেশ ১১০ বা ১১২ রানেই গুটিয়ে যেতে পারতো, কিন্তু ১৩৩ পর্যন্ত যেতে পেরেছে, এটিই পার্থক্য গড়েছে।’

এমআর/এসএন    

Share this news on:

সর্বশেষ

img
দেশজুড়ে ২ দিন ধরে চলমান বিক্ষোভের কাছে নতি স্বীকার প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির Jul 24, 2025
img
সুন্দরবনে অবৈধ শিকারে ৮০০ কেজি চিংড়িসহ ট্রলার জব্দ Jul 24, 2025
img
গাজায় অনাহারে প্রাণ গেল আরও অন্তত ১০ জনের Jul 24, 2025
img
ঢাকায় মুষলধারে বৃষ্টি-বজ্রপাত Jul 24, 2025
img
দুপুরের মধ্যে দেশের ১০ জেলায় ৬০ কি.মি. বেগে ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস Jul 24, 2025
img
বিদেশে প্রথম ম্যাচেই তহুরার গোল, ম্যাচ সেরা শামসুন্নাহার Jul 24, 2025
img
সুনামগঞ্জে ৪৬ কেজি গাঁজাসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ Jul 24, 2025
img
সকালে খালি পেটে ঘি খেলে যা হয় Jul 24, 2025
img
সাগরে লঘুচাপ, সপ্তাহজুড়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির সম্ভাবনা Jul 24, 2025
img
ঢাকা থেকে কুমিল্লা সরাসরি রেললাইন চালু করতে হবে : এনসিপি নেতা শিশির Jul 24, 2025
img
শিবিরের আসল প্রকাশ্য রুপ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখতে পাবেন না : নাসির উদ্দিন নাসির Jul 24, 2025
img
ডেঙ্গু জয় করে বাড়ি ফিরলেন বিজয় দেবরাকোন্ডা Jul 24, 2025
img
আগামীতে এনসিপির নেতৃত্বে সরকার গঠন হবে : নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী Jul 24, 2025
img
আদালতে জামিন নিতে গিয়ে শিবিরের তোপের মুখে গ্রেফতার আ.লীগের দুই নেতা Jul 24, 2025
img
‘ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের আগে দাঁতও মাজেনি!’, সহ-অভিনেতার অপরিচ্ছন্নতায় বিদ্যার অস্বস্তি Jul 24, 2025
img
শোকের রাতে রাজনৈতিক নাটক, মানবিকতা কোথায়? : মাসুদ কামাল Jul 24, 2025
img
নির্বাচন পেছাতে একটি শ্রেণিকে মাঠে রাখা হয়েছে : জাহেদ উর রহমান Jul 24, 2025
img
প্রথম বিদেশ সফরে কুয়ালালামপুর গেলেন পররাষ্ট্রসচিব Jul 24, 2025
img
রাষ্ট্রের অর্থের অভাব পড়ল কোথায়, জানতে হবে : রনি Jul 24, 2025
img
দুধ দিয়ে গোসল করে রাজনীতি ছাড়লেন নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা Jul 24, 2025