১৯৯৮ সালের ৮ অক্টোবর, হঠাৎই এক খবরে দেশের চলচ্চিত্রাঙ্গনে নেমে এলো শোকের ছায়া। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে মারা গেছেন সে সময়ের খ্যাতিমান চলচ্চিত্র অভিনেতা ও মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের জসিম উদ্দিন (নায়ক জসিম)।
মাত্র ৪৮ বছর বয়সী এই অভিনেতার মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেননি ভক্তরা। শোনা যায়, সে সময় এফডিসিতে জসিমকে শেষবারের মতো দেখার জন্য ভিড় জমান লাখো মানুষ।
জসিম ছিলেন বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে অ্যাকশন ধারার প্রবর্তক। ক্যারিয়ারে প্রায় ২০০’র বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। এছাড়াও ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে একজন সৈনিক হিসেবে ২ নম্বর সেক্টরে মেজর হায়দারের নেতৃত্বে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করেন তিনি।
জসিমের মৃত্যুর খবর যেমন চমকে দিয়েছিল ভক্তদের, ঠিক একইভাবে তার ছেলে জনপ্রিয় রক ব্যান্ড ওইনডের ভোকালিস্ট ও ফ্রন্টম্যান এ কে রাতুলের মৃত্যুও চমকে দিল সকলকে।
আজ (শনিবার) বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটের দিকে রাজধানীর একটি জিমে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন প্রয়াত চিত্রনায়ক জসিমের ছেলে এ কে রাতুল।
ব্যান্ডের গীতিকার সিয়াম ইবনে আলম জানান, উত্তরার একটি জিমে হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হন রাতুল। সেখান থেকে তাকে দ্রুত রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
মাত্র একদিন আগেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব থাকতে দেখা গেছে রাতুলকে। সুস্থ-স্বাভাবিকই ছিলেন তিনি। তবে শনিবার বিকেলেই জিমে হৃদরোগে আক্রান্ত হন এই যুবক। তার এই অকালমৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না ভক্তরা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই আক্ষেপের সুরে লিখেছেন, জসিম বেঁচেছিলেন মাত্র ৪৮ বছর। তার সন্তান বাবার বয়সটুকুও পেলেন না!
শুধু তাই নয়, জসিমের আচমকা মৃত্যুর খবর যেমন চমকে দিয়েছিল সকলকে, রাতুলের মৃত্যুর খবরও অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে তার গানের ভক্তদের। অনেকেই গায়ককে নিয়ে বিভিন্ন স্মৃতিচারণ করছেন ফেসবুকে।
প্রসঙ্গত, নায়ক জসিমের তিন ছেলের একজন এ কে রাতুল। বাবার পথ ধরে অভিনয়ে নাম লেখাননি তারা, কাজ করেছেন সংগীতজগতে। তিনজনই যুক্ত ব্যান্ডের সঙ্গে।
এর মধ্যে রাহুল ‘ট্রেনরেক’ ব্যান্ডের গিটারিস্ট ও ‘পরাহো’ ব্যান্ডের ড্রামার, রাতুল ও সামী যুক্ত ছিলেন ‘ওইনড’ ব্যান্ডের সঙ্গে। রাতুল ওইনডের ভোকালিস্ট ও বেজিস্ট, সামী ড্রামার।
এসএন