ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চলমান টেস্ট সিরিজে তিন ম্যাচের বেশি খেলতে পারেননি জসপ্রীত বুমরাহ। ওয়ার্কলোড ম্যানেজের কথা চিন্তা করে তাকে বেশ সতর্কতার সাথে খেলাচ্ছে ভারত। তবে বুমরাহকে যদি শুধু টেস্টেই সীমাবদ্ধ রাখা হয়, তা হবে হতাশাজনক; এমন মন্তব্য করেছেন অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি পেসার গ্লেন ম্যাকগ্রা।
এ বছরের শুরুতে অস্ট্রেলিয়া সফরে বুমরাহকে অতিরিক্ত ব্যবহার করা হয়েছিল বলে গুঞ্জন আছে। অনেকের ধারণা, ওই সফরের ধকলের কারণেই বুমরাহ চোটে পড়েছিল। চোট কাটিয়ে আইপিএল দিয়ে মাঠে ফিরলেও ঝুঁকির কারণে টানা খেলতে পারছেন না এই পেসার।
সবশেষ ইংল্যান্ড সফরে গিয়েও এই ধকল কাটেনি বুমরাহ’র। চলমান সিরিজে মাত্র তিনটি ম্যাচেই মাঠে নেমেছিলেন ভারতীয় পেসার, বাকি দুই ম্যাচে তাকে বিশ্রাম দেয়া হয়েছিল।
অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি পেসার গ্লেন ম্যাকগ্রা মনে করেন, বুমরাহ’র অস্বাভাবিক বোলিং অ্যাকশন তার শরীরের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে এবং তাকে ফিট থাতে হলে নিয়মিত বিরতিতে বিশ্রাম দরকার। কিন্তু তাকে বিশ্রাম দিতে হলে ভারতের অন্য পেসারদের বাড়তি দায়িত্ব নিতে বলেও মনে করেন ম্যাকগ্রা।
চেন্নাইয়ে এমআরএফ পেস ফাউন্ডেশনের এক অনুষ্ঠানে ম্যাকগ্রা বলেন, ‘আপনি চাইবেন আপনার সেরা বোলার যেন বল করে এবং সেও সবসময় বল করতে চাইবে। কিন্তু যদি সে শুধুই ছোট ছোট স্পেল করে, তবে ব্যাটিং দল জানে তিন-চার ওভার টিকলেই ঝুঁকি কমে যাবে। তাই অন্য বোলারদের ভূমিকা এখানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ।’
ম্যাকগ্রা মনে করেন, বুমরাহ সীমিত ওভারের ক্রিকেটে বেশি কার্যকর। তাই তাকে শুধু টেস্টে সীমাবদ্ধ করে রাখা হতাশাজনক বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। অবশ্য বুমরাহ কোন ফরম্যাট বেছে নেবেন সেটা তার ওপরই ছেড়ে দিতে বলেছেন অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি এই পেসার।
‘আপনার আরেকটি পেস বোলিং ইউনিট তৈরি করতে হবে যারা সমানভাবে ভালো বল করতে পারবে, যাতে ওয়ার্কলোড ভাগাভাগি করা যায়।
বুমরাহ ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ভীষণ কার্যকর। যদি সে কেবল টেস্টেই সীমাবদ্ধ থাকে, সেটি হতাশাজনক হবে। তবে শেষ পর্যন্ত তাকেই ঠিক করতে হবে কোনটা তার জন্য ভালো।’
বুমরাহ’র বোলিং অ্যাকশন নিয়ে ম্যাকগ্রা বলেন, ‘তার অ্যাকশন অনেকটা ভিন্ন। ধীরগতির রান-আপের পর শেষ কয়েক ধাপে হঠাৎ গতি এনে ক্রিজ অতিক্রম করে। তার হাইপারএক্সটেনশন এবং দুর্দান্ত পজিশন রয়েছে। তার বল রিলিজ হয় ব্যাটসম্যানের অনেক কাছ থেকে, যেটা তাকে আরও কার্যকর করে তোলে। কিন্তু শরীরের ওপর বাড়তি চাপ ফেলে।’
এমআর/টিকে