জনগণকে রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী করতে হবে : তারেক রহমান

জনগণকে রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী করতে হবে মন্তব্য করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, সরাসরি ভোট দিয়ে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করার অধিকারের যে চর্চা, এই চর্চার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রে ও রাজনীতিতে জনগণ শক্তিশালী হয়ে ওঠে। জনগণ রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী না হতে পারলে রাষ্ট্র ও সরকার শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে না।

আজ (মঙ্গলবার) রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, স্বাধীনতার ঘোষকের আদর্শের সৈনিক হিসেবে, মাদার অব ডেমোক্রেসি খালেদা জিয়ার একজন কর্মী হিসেবে, জাতীয়তাবাদী আদর্শের একজন অনুসারী হিসেবে আপনাদের প্রতি আমার আহ্বান— এমন কোনো কাজ থেকে বিরত থাকুন, যা জনমনে বিরূপ ধারণা তৈরি করতে পারে। মনে রাখবেন, জনশক্তি, জনবল, বিএনপির মনোবল। জনগণের ভালোবাসায় থাকুন, ভালোবাসায় রাখুন।

তারেক রহমান বলেন, নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন নিয়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর কোনো কোনো নেতার বক্তব্য জনগণের মনে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। আমি মনে করি, গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হলে রাষ্ট্রে ও রাজনীতিতে পতিত ফ্যাস্টিস্ট শক্তি পুনর্বাসন হওয়ার সুযোগ সহজ হবে।

তিনি আরও বলেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনায় রাষ্ট্র এবং রাজনীতিতে জনগণকে শক্তিশালী করা কিংবা প্রতিটি নাগরিকের নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করার অন্যতম প্রধান মাধ্যম হচ্ছে নির্বাচন। সুতরাং নানা শর্ত আরোপ করে জনগণের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার পথে যদি বাধা সৃষ্টি করা হয়, তাহলে গণতন্ত্র উত্তরণের পথ সংকটে পড়বে। যদি গণতন্ত্র উত্তরণের পথ সংকটে পড়ে, যদি রাষ্ট্রে জনগণ তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে না পারে, তাহলে সমগ্রিকভাবে সমস্ত দেশকে সমস্যায় পড়তে হবে। জনগণ নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য জনগণ ফ্যাসিবাদ হটিয়েছে।

তারেক রহমান বলেন, ১৯৭১ সাল ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের যুদ্ধ। ২০২৪ সাল ছিল ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা রক্ষা করার যুদ্ধ। গত ৫৪ বছরে দেশের জন্য যারা জীবন দিয়েছে তাদের কাছে আমরা ঋণি। ফ্যাসিস্টবিরোধী সকল শক্তির মধ্যে নিত্য-নতুন ইস্যুতে বিতর্কে জড়িয়ে পড়া শহীদের আত্মত্যাগের অবমাননা বলে মনে করি। সকল শহীদের কাঙ্ক্ষিত ইনসাফের গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শহীদের রক্তের ঋণ পরিশোধ করা এখন সময়ের দাবি।

তিনি বলেন, বিএনপির আগামী দিনের রাজনীতি হবে জনগণের জীবন-মান উন্নয়নের রাজনীতি। দেশের ভেতরে বা বাইরে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা আমাদের মূল লক্ষ্য থাকবে। শুধু কর্মসংস্থান নয়, কর্মসংস্থানের পাশাপাশি নিরাপদ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে আমাদের রাজনীতি।

ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, বিএনপি আগামী দিনের জনগণের ভোটে ক্ষমতায় এলে পাঁচ বছরে ২৫ কোটি গাছ লাগানোর পরিকল্পনা করেছি। সারা দেশে জিয়াউর রহমানের খাল খননের সুফলতা তুলে ধরে তিনি বলেন, সারা দেশে খাল খননের পরিকল্পনা করেছে বিএনপি।

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন— বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বেগম সেলিমা রহমান, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন-নবী খান সোহেল প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান।

এসএন 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
দিল্লিতে বসে হাসিনার অপরাজনীতি চলবে না : রাশেদ প্রধান Oct 10, 2025
img
থালাপতি বিজয়ের বাড়িতে বোমার খবরে এলাহি কাণ্ড Oct 10, 2025
দেশপ্রেম শুধু মঞ্চে, কাজে দলই বড় - প্রশ্ন তুলল জামায়াত Oct 10, 2025
img
মুক্তি পেয়ে তুরস্কে পৌঁছেছেন শহিদুল আলম Oct 10, 2025
img
শিক্ষাবিদ সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম আর নেই Oct 10, 2025
img
গাজায় দৈনিক ৬০০ ত্রাণ ট্রাক প্রবেশের অনুমতির সিদ্ধান্ত ইসরায়েলের Oct 10, 2025
img
মোহাম্মদপুরে ঝটিকা মিছিলের চেষ্টা, ২ আটক Oct 10, 2025
img

এরদোয়ানকে প্রধান উপদেষ্টার ধন্যবাদ

ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন শহিদুল আলম Oct 10, 2025
img
দুঃখ ভুলতে গানের জগতে পা রাখেন জন লেনন Oct 10, 2025
img
শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী কে এই মারিয়া করিনা মাচাদো? Oct 10, 2025
img
আর্জেন্টিনা, ফ্রান্স, স্পেন এরপর ব্রাজিল Oct 10, 2025
img
ডিএমপির ঊর্ধ্বতন ৮ কর্মকর্তাকে রদবদল Oct 10, 2025
img
শান্তিতে নোবেল পেয়ে ‘অবাক’ মারিয়া কোরিনা Oct 10, 2025
img
শাহজালালে ৬৫ ভরি স্বর্ণসহ আটক ২ Oct 10, 2025
img
ঐশ্বরিয়ার জন্যই ‘দেবদাস’ থেকে বাদ পড়েন সালমান? Oct 10, 2025
img
হাতিরঝিলে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ৯ Oct 10, 2025
img
‘অবৈধ অনুপ্রবেশে’ ভারতে আটক ৩৪ বাংলাদেশি নাগরিক Oct 10, 2025
img
‘না বলা’ অনেক কথা বলবেন নোবেল Oct 10, 2025
img
বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সুখবর দিলেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম Oct 10, 2025
img
আগে গণভোট পরে সংসদ নির্বাচন, দাবি খেলাফত মজলিসের Oct 10, 2025