ট্রাম্প সত্যিই নোবেল পুরস্কার প্রাপ্য, বললেন আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সত্যিই নোবেল পুরস্কার প্রাপ্য বলে মন্তব্য করেছেন আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ। আফ্রিকা, এশিয়া এবং দক্ষিণ ককাশাশে তার অবদান উল্লেখ করে আজারি প্রেসিডেন্ট বলেছেন ট্রাম্প ‘শান্তি চান’।

সংবাদমাধ্যম আল আরাবিয়াকে এক এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে আলিয়েভ বলেছেন, “আর্মেনিয়ার সঙ্গে আমরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে নোবেলের জন্য মনোনীত করেছি। তিনি সত্যিই নোবেল পুরস্কার প্রাপ্য।”
আগামী সপ্তাহে তার পূর্ণ সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করবে আল-আরাবিয়া।

এতে ট্রাম্প সম্পর্কে আলিয়েভ আরও বলেন, “তিনি আফ্রিকা, এশিয়া এবং দক্ষিণ ককেশাসে অলৌকিক কাজ করেছেন এবং এটি তার চরিত্র। তিনি শান্তি চান।”

“পশ্চিমা নেতাদের যে চিত্র সেটি থেকে ট্রাম্প সম্পূর্ণ আলাদা। কিন্তু খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ। তিনি খুব উদার। তিনি এ সকল উপহার দিয়েছেন উদার বলেই। পরিকল্পনার চেয়ে বেশি দিয়েছেন। তিনি এমন একজন মানুষ যিনি অনেক কৃতিত্বের যোগ্য।”

ট্রাম্পের সঙ্গে সবসময় ইতিবাচক মনোভাব ছিল উল্লেখ করে আজারি প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, “তার প্রতি আমার অবস্থান, একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে, সবসময় ইতিবাচক ছিল। এমনকি তার প্রেসিডেন্টের প্রথম মেয়াদে, যদিও ওই সময় আমাদের সাক্ষাতের সুযোগ হয়নি। যখন ডিপ স্টেট তার জয় চুরি করল তখনও তার প্রতি আমার অবস্থান ইতিবাচক ছিল।”

আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট দাবি করেছেন, গত নির্বাচনের আগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ওয়াশিং পোস্ট, নিউইয়র্ক টাইমস, রেডিও লিবার্টিসহ কিছু ‘ভুয়া সংবাদমাধ্যম’ মিথ্যা প্রোপাগান্ডা চালিয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধেও এসব সংবাদমাধ্যম মিথ্য তথ্য ছড়িয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

এদিকে গত ৮ আগস্ট ট্রাম্পে উপস্থিতিতে শান্তি চুক্তি করে দীর্ঘদিনের শত্রু দেশ আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া।

১৯৮০ সালের দিকে আজারবাইজানের পাহাড়ি অঞ্চল নাগারনো কারাবাখ আজারবাইজান থেকে আর্মেনিয়ার সাহায্যে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সেখানকার বেশিরভাগ বাসিন্দা জাতিগত আর্মেনীয়। তবে ২০২৩ সালে আবারও এ ভুখণ্ডের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ফিরে পায় আজারবাইজান। এতে করে কারাবাখ থেকে জাতিগত হাজার হাজার আর্মেনীয় পালিয়ে যান।

সূত্র: আল-আরাবিয়া

কেএন/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের শঙ্কা এখনো কাটেনি : দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য Dec 11, 2025
img
পুরস্কারের সেই ২ কোটি টাকা বুঝে পেল হামজারা Dec 11, 2025
img
সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ের উদ্বোধন আজ Dec 11, 2025
img
ভেনেজুয়েলা উপকূলে ট্যাংকার আটক, বিশ্ববাজারে বাড়ল তেলের দাম Dec 11, 2025
img
প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, গবেষণা ও পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির আহ্বান সেনাপ্রধানের Dec 11, 2025
img
ক্রিকেটের চেয়ে বেশি কাউকে ভালোবাসি না : স্মৃতি Dec 11, 2025
img
ডিসেম্বরের ৯ দিনেই এসেছে ১১৬ কোটি ডলার রেমিট্যান্স Dec 11, 2025
img
আবারও বন্ধ মধুখালী-বালিয়াকান্দি রুটে বাস চলাচল Dec 11, 2025
img
‘ট্রাম্প গোল্ড ভিসা’ চালু করল যুক্তরাষ্ট্র Dec 11, 2025
img
প্রবাসী ভোটারদের নিবন্ধন ছাড়াল ৩ লাখ ৭ হাজার Dec 11, 2025
img
শুক্রবার থেকে মেট্রোরেলের যাত্রী সেবা বন্ধের ঘোষণা Dec 11, 2025
img
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের ওপর নিষেধাজ্ঞার হুমকি যুক্তরাষ্ট্রের Dec 11, 2025
img
মায়ের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দিয়েছিল আমার ভাবনা: শাবানা আজমি Dec 11, 2025
img
তামিমকে ‘স্যালুট’ জানানোর ব্যাখ্যা দিলেন ফারুক Dec 11, 2025
img
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের পরিচালক মহিবুল হাসানকে প্রত্যাহার Dec 11, 2025
img
বিশ্বকাপের আগে উরুগুয়ে ও জাপানের মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড Dec 11, 2025
img
বায়ুদূষণের শীর্ষে দিল্লি, তালিকায় ঢাকার অবস্থান ষষ্ঠ Dec 11, 2025
img
দেশের বাজারে আজ কত দামে বিক্রি হচ্ছে স্বর্ণ ও রুপা Dec 11, 2025
img
ইউক্রেনে দ্রুত নির্বাচন দাবি ট্রাম্পের, জেলেনস্কির মন্তব্য Dec 11, 2025
img
পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে, বেড়েছে শীতের তীব্রতা Dec 11, 2025