ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠার রূপরেখা ঘোষণা করলেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ইউক্রেনের নিরাপত্তার দায়িত্ব ন্যাটোর বদলে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদসহ আরও কয়েকটি দেশের জোটবদ্ধ হয়ে নেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। রবিবার (২৪ আগস্ট) মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

এনবিসিকে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যসহ একটি আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী ইউক্রেনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেবে। এই জোটে জার্মানি, তুরস্কসহ আরও কয়েকটি দেশ থাকতে পারে। 

তিনি বলেন, এ বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় ২০২২ সালের ব্যর্থ ইস্তাম্বুল আলোচনা প্রসঙ্গ তুলেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চয়তাকারীদের হতে হবে নিরপেক্ষ, সামরিক কোনও জোটের সংশ্লিষ্টতাহীন এবং অপারমাণবিক রাষ্ট্র।

ল্যাভরভ যে আলোচনার কথা বলেছেন, তার একটি খসড়া যাচাই করেছে রয়টার্স। সেই আলোচনায় দাবি ছিল, ইউক্রেন স্থায়ীভাবে নিরপেক্ষ থাকবে। বিনিময়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য (যুক্তরাজ্য, চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র) এবং অন্যান্য কিছু দেশ তাদের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেবে।

ল্যাভরভ জোর দিয়ে বলেছেন, পশ্চিমাদের সামরিক জোট ন্যাটোতে ইউক্রেনের সদস্যপদ পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা রাশিয়ার কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি দাবি করেন, ইউক্রেনে বাসকারী রুশভাষী জনগণের সুরক্ষা রাশিয়ার অগ্রাধিকার এবং ইউক্রেনের সঙ্গে সীমান্ত ও ভূখণ্ড ইস্যুতে আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিন কর্মকর্তার বরাতে গত সপ্তাহে রয়টার্স জানায়, শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কয়েকটি দাবি করেছেন পুতিন। এরমধ্যে রয়েছে, ইউক্রেনকে পূর্বাঞ্চলীয় ডনবাস অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দেওয়া, ন্যাটোতে যোগদানের পরিকল্পনা পরিত্যাগ, নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রাখা এবং পশ্চিমা কোনও বাহিনীকে দেশের ত্রিসীমানায় আনা থেকে বিরত থাকা।

ইউটি/টিএ




Share this news on:

সর্বশেষ

img
পুলিশের ঊর্ধ্বতন ১৩ কর্মকর্তাকে বদলি Oct 27, 2025
img
‘আ.লীগ নেতাকর্মীর স্ত্রীদের ওপর জামায়াতের হক আছে’ বক্তব্যটি মিথ্যা-প্রোপাগান্ডা: মির্জা গালিব Oct 27, 2025
img
জলাবদ্ধতা নিরসনে আগারগাঁও-কল্যাণপুরে খাল খনন কার্যক্রম চালাচ্ছে ডিএনসিসি Oct 27, 2025
img
২৯ বছর আগে দায়ের করা মামলার আসামিদের খোঁজে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী Oct 27, 2025
img
কুয়াকাটায় ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের প্রাণহানি, আক্রান্ত শতাধিক Oct 27, 2025
img
দলীয় লেজুড়বৃত্তি করে সাংবাদিকতাকে কলুষিত করবেন না : আইয়ুব ভূঁইয়া Oct 27, 2025
img
দ্বিতীয় ম্যাচে আজ থাইল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ Oct 27, 2025
img
ফেনী সীমান্তে কোটি টাকার ভারতীয় মালামাল আটক Oct 27, 2025
img

কালামের স্ত্রী আইরিন আক্তার

আবুল কালাম আমাকে সারা জীবনের জন্য কান্না উপহার দিয়ে চলে গেল Oct 27, 2025
img
১৪ বছরের সংসার জীবনের ইতি টানছেন জয় ও মাহির! Oct 27, 2025
img
দুটি চিকিৎসা যন্ত্রের দামে ১৪ কোটি টাকার পার্থক্য কেন? : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম Oct 27, 2025
img
জানুয়ারির পর সর্বোচ্চ মুদ্রাস্ফীতির কবলে যুক্তরাষ্ট্র Oct 27, 2025
img
জামায়াতি ষড়যন্ত্রে আন্তর্জাতিক আদালতের ন্যায়বিচার প্রশ্নবিদ্ধ: তারেক রহমান Oct 27, 2025
img
কৃষকরা খাদ্য নিরাপত্তার সামনের কাতারের সৈনিক : খাদ্য উপদেষ্টা Oct 27, 2025
img
আমিরাতে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল দুই বাংলাদেশির Oct 27, 2025
img
ফারসি সালোয়ারে স্বস্তিকা, মায়ের স্মৃতিতে সাজলেন অভিনেত্রী Oct 27, 2025
img
আমি একবার বিলাসবহুল একটি হোটেল থেকে জায়নামাজ চুরি করেছিলাম: দুরেফিশান সেলিম Oct 27, 2025
img
কোন সভ্য দেশে সরকারি অফিসে মানুষকে দৌড়াতে হয় না: আমির খসরু Oct 27, 2025
img
ক্ষমতায় গেলে অর্থনীতির নতুন মডেল করবে বিএনপি: আমির খসরু Oct 27, 2025
img
শাপলা প্রতীক পাচ্ছে না এনসিপি Oct 27, 2025