অ্যান্টি-স্যাটেলাইট ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা ভারতের

অ্যান্টি-স্যাটেলাইট ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালানোর দাবি করেছে ভারত। বুধবার জাতির উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে এ দাবি করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এর আগে এই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চীন। খবর এনডিটিভি ও আনন্দবাজারের।

মোদি তার বক্তব্যে বলেন, কিছুক্ষণ আগেই অ্যান্টি স্যাটেলাইট মিসাইল (এ-স্যাট) দিয়ে ভারত লো-আর্থ অরবিট (এলইও)-এ থাকা একটি অপ্রয়োজনীয় কৃত্রিম উপগ্রহকে ধ্বংস করেছে। মাত্র তিন মিনিটের মধ্যেই এই অপারেশন সম্পন্ন হয়েছে। মিশন শক্তি নামের এই অপারেশনের সাফল্যের জন্য ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন(ডিআরডিও)’র বিজ্ঞানীদের অভিনন্দন জানান তিনি।

কী এই ক্ষেপণাস্ত্র?

মহাকাশে শত্রু উপগ্রহের মোকাবিলায় কাজ করে এই এ-স্যাট বা অ্যান্টি স্যাটেলাইট ক্ষেপণাস্ত্র। কোনো উপগ্রহের কক্ষপথে গিয়ে তাকে ধ্বংস করতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র। প্রধানত সামরিক ক্ষেত্রেই এর ব্যবহার হয়ে থাকে। এখনও পর্যন্ত দুনিয়ায় অন্য কোনো ক্ষেত্রে এই ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যবহার হয়নি। তবে কখনো যুদ্ধের প্রয়োজনে শত্রুপক্ষের যোগাযোগ উপগ্রহ এই ক্ষেপণাস্ত্রের সাহায্যে ধ্বংস করা সম্ভব। এতে বিপক্ষের সব স্বয়ংক্রিয় পরিকাঠামো অকোজ হয়ে পড়ে। ২০১০ সালেই এই ধরনের একটি ক্ষেপণাস্ত্রের কথা জানায় ভারতের ডিআরডিও।

বুধবার সকালে নরেন্দ্র মোদি নিজেই টুইট করে জানান, দেশবাসীকে ‘গুরুত্বপূর্ণ বার্তা’ দিতে ভাষণ দেবেন তিনি।

টুইটে প্রধানমন্ত্রী জানান, বেলা ১১টা ৪৫ মিনিট থেকে ১২টার মধ্যে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা দেবেন। তবে প্রায় আধ ঘণ্টা দেরি করে নিজের ভাষণ শুরু করেন মোদি।

বেলা সাড়ে ১২টার দিকে জাতির উদ্দেশে নিজের ভাষণ শুরু করেন মোদি।

তিনি বলেন, ‘ভারত আজ মহাকাশে অন্যতম শক্তি।মহাকাশে ভারত এখন চতুর্থ শক্তি।’

তার কথায়, ‘ডিআরডিও বিজ্ঞানীরা অ্যান্টি স্যাটেলাইট মিসাইল দিয়ে কক্ষপথে থাকা কৃত্রিম উপগ্রহকে পরীক্ষামূলকভাবে ধ্বংস করেছেন।’ তিনি জানান, এই অপারেশনের নাম ছিল ‘মিশন শক্তি’।

 

 

টাইমস/এসআই

Share this news on:

সর্বশেষ

img

লা লিগা

রাফিনিয়ার দুর্দান্ত গোল, আতলেতিকোকে ৩-১ গোলে উড়িয়ে দিল বার্সেলোনা Dec 03, 2025
img
রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে ফ্রান্সের কাছে ৩-২ গোলে হেরে 'পুল পর্ব' থেকেই বিদায় বাংলাদেশের Dec 03, 2025
img
ভেনিজুয়েলায় সামরিক শক্তি ব্যবহার না করতে ট্রাম্পকে আহ্বান পোপ লিওর Dec 03, 2025
img
নাটোরে ড্রাম ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ গেল সেনা সদস্যের Dec 03, 2025
img
মার্কিন ডলারের বিপরীতে ফের সর্বকালের সর্বনিম্নে ভারতীয় রুপির মান Dec 03, 2025
img
আরও ৮ জন ইমিগ্রেশন বিচারককে বরখাস্ত করেছে ট্রাম্প Dec 03, 2025
img
প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার ফোন, অবশেষে সেই ৮ কুকুরছানা হত্যাকারীর বিরুদ্ধে মামলা Dec 03, 2025
img
মক্কা ও মদিনায় হোটেল ভাড়া বৃদ্ধি ৪০ শতাংশ, বিপাকে ওমরাহযাত্রীরা Dec 03, 2025
img
সিরাজগঞ্জের কাজিপুর হানাদার মুক্ত দিবস আজ Dec 03, 2025
img
একসময় খালেদা জিয়াকে বিদেশে চলে যেতে বলা হয়েছিল কিন্তু তিনি যাননি : সরওয়ার আলমগীর Dec 03, 2025
img
মাগুরায় বিদেশি পিস্তল ও গুলিসহ স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা শামিম গ্রেপ্তার Dec 03, 2025
img
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রাণ গেল অসুস্থ কয়েদির Dec 03, 2025
img
রংপুরে জামায়াতসহ ৮ দলের সমাবেশ আজ Dec 03, 2025
img
জামায়াত প্রার্থীর বাসায় গেলেন বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ Dec 03, 2025
img
‘আমি জাদুকর নই’, আজারবাইজানের বিপক্ষে হারের পর বাটলার Dec 03, 2025
img
ছোট উদ্যোক্তাদের আন্তর্জাতিক বাজারে যুক্ত করার লক্ষ্যে শীঘ্রই বাংলাদেশে আসছে পে-পাল : গভর্নর Dec 03, 2025
img
দেশের ওষুধ শিল্পকে বৈশ্বিক মানে এগিয়ে নিতে হবে : ডা. শফিকুর রহমান Dec 03, 2025
img
টিউলিপের বিচার ও দণ্ড প্রশ্নে দুদকের ব্যাখ্যা Dec 03, 2025
img
ভারতের চোখে চোখ রেখে কথা বলা একমাত্র প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া: রাশেদ খান Dec 03, 2025
img
দক্ষতা উন্নয়ন ও কারিগরি শিক্ষা অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম ভিত্তি: শিক্ষা উপদেষ্টা Dec 03, 2025