জাকসু নির্বাচন

রাতভর অবরুদ্ধ উপাচার্য ও নির্বাচন কমিশন

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে ‘সম্প্রীতির ঐক্য’ প্যানেল থেকে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী ও ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি অমর্ত্য রায়ের প্রার্থিতা বাতিলকে ঘিরে মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টা থেকে ভোর সাড়ে ৫টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও নির্বাচন কমিশনকে অবরুদ্ধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে, সন্ধ্যা পৌনে ৭টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় বসেন শিক্ষার্থীরা। 
সন্ধ্যা থেকে চলা এই মিটিং থেকে রাত ১০টার দিকে উপাচার্য কক্ষ থেকে বের হতে চাইলে শিক্ষার্থীরা কক্ষের দরজা বন্ধ করে দেন। এসময় সাংবাদিকদেরও প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়। পরে দিবাগত রাত ৪টার দিকে বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা সিনেট ভবনের সামনে জড়ো হয়ে প্রশ্ন তোলেন, নির্বাচনের আগের রাতেই এভাবে কমিশনকে অবরুদ্ধ করা নির্বাচন বানচালের কৌশল কি না?

তারা অবরোধের নিন্দা জানান। বলেন, উপাচার্য জাকসুর সভাপতি পদে থাকলেও কমিশনের সভায় উপস্থিত থাকা অনৈতিক।

অন্যদিকে, ‘সম্প্রীতির ঐক্য’ প্যানেলের প্রার্থীরা দাবি করেন, অমর্ত্যের প্রার্থিতা বাতিল অবৈধ। তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অবরোধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। অবশেষে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে অবরোধকারীরা সিনেট ভবন ত্যাগ করেন।

এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান বলেন, এটা আদালতের রায়। চাইলেই তো আমরা পরিবর্তন করে ফেলতে পারি না। তবে আমি চাই সমস্যার সমাধান হোক। কীভাবে সমাধান করা যায় সে বিষয়ে পরামর্শ চাই।

এর আগে, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশের আট দিন পর গত শনিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনিরুজ্জামানের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে অমর্ত্যের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়। 
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও আ ফ ম কামালউদ্দিন হলের আবাসিক ছাত্র অমর্ত্য রায় জন জাকসু গঠনতন্ত্রের ৪ ও ৮ ধারা অনুযায়ী ভোটার ও প্রার্থী হিসেবে অযোগ্য। এজন্য তার নাম তালিকা থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। 

পরে সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) প্রার্থিতা ফেরত পেতে হাইকোর্টে রিট করেন অমর্ত্য রায়। গতকাল মঙ্গলবার নির্বাচনে অমর্ত্য রায়ের প্রার্থিতা ফিরিয়ে দিতে হাইকোর্ট আদেশ দিলেও তা স্থগিত করে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।

এসএস/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
কলা কিনতে খরচ ৩৫ লাখ, কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ Sep 10, 2025
img
রোনালদোকে আদর্শ ধরে নিজেকে ‘পর্তুগিজ’ ভাবতেন এমবাপ্পে Sep 10, 2025
img
আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশন Sep 10, 2025
img
সেপ্টেম্বরে প্রথম ৯ দিনে রেমিট্যান্স ১০২ কোটি ডলার Sep 10, 2025
img
ভারত-চীনের ওপর ১০০ শতাংশ করারোপে ইউরোপকে উস্কাচ্ছেন ট্রাম্প Sep 10, 2025
img
লাস্যময়ী অবতারে টলি অভিনেত্রী এনা সাহা Sep 10, 2025
img
শিল্পা-রাজ দম্পতির বিরুদ্ধে ‘লুকআউট’ নোটিশ জারি, জন্মদিনে জুটেছে পুলিশি জেরার চাপ Sep 10, 2025
img
নেপালে নিরাপদেই আছেন জামালরা, কালকের মধ্যেই দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা বাফুফের Sep 10, 2025
img
আসছে সুনেরাহ-নাঈমের নতুন রোম্যান্টিক ফিকশন Sep 10, 2025
img
চট্টগ্রামে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ায় নতুন করে আক্রান্ত ৭২ Sep 10, 2025
img
গণেশ লুঙ্গির আড়ালে লুকিয়ে থাকা বিপ্লবী নয় : নিপুণ Sep 10, 2025
img
গভীর ষড়যন্ত্রের ফল হচ্ছে ডাকসু নির্বাচন : প্রিন্স Sep 10, 2025
img
মাহির সঙ্গে প্রেমের খবর ভুয়া বলে উড়িয়ে দিলেন জায়েদ খান Sep 10, 2025
img
ঘনিষ্ঠ বন্ধু মোদির সঙ্গে কথা বলার অপেক্ষায় আছি: ট্রাম্প Sep 10, 2025
img
ডাকসু নির্বাচন জাতীয় ভোটে প্রতিফলন করবে না : মান্না Sep 10, 2025
img
জাকসু নির্বাচনে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকবে সেনাবাহিনী: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় Sep 10, 2025
img
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের খসড়া ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ Sep 10, 2025
img
জুলাই বিপ্লবে প্রবাসীদের অবদান নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র 'আমাদস ড্রিম' Sep 10, 2025
img
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৬২৫ Sep 10, 2025
img
ব্যাটিং-বোলিংয়ের চেয়ে ফিল্ডিংকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন বুলবুল Sep 10, 2025