জলবায়ু পরিবর্তন একটি ধাপ্পাবাজি, জাতিসংঘে বললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনের শুরুর দিনে দীর্ঘ বক্তব্য দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে জাতিসংঘের সম্মেলন শুরু হয়।

এতে জাতিসংঘের তীব্র সমালোচনা, বিশ্বব্যাপী সাতটি যুদ্ধ বন্ধ করার দাবি, ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। তার বক্তব্যে ছিল জলবায়ু পরিবর্তনও। তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টিকে ধাপ্পাবাজি হিসেবেও অভিহিত করেন।

ট্রাম্প বলেন, “আমার মতে, বিশ্বের মধ্যে হওয়া সবচেয়ে বড় প্রতারণামূলক কাজ হলো জলবায়ু পরিবর্তন। কার্বণ নৃঃসরণ হলো ভুয়া (কথা)।”

নবায়নযোগ্য জ্বালানিকে ‘জোক বা কৌতুক’ হিসেবে অভিহিত করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এই নবায়নযোগ্য জ্বালানি অনেক ব্যয়বহুল এবং অকার্যকর বলেও দাবি করেন তিনি।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ নবায়নযোগ্য জ্বালানির মাধ্যমে সবুজায়ন ধরে রাখার চেষ্টা করছে। এটিরও তীব্র সমালোচনা করেছেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, “যদি আপনার দেশ এই সবুজ ধাপ্পাবাজি থেকে বের না হয়। তাহলে আপনারা ব্যর্থ হবেন।”

দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হয়ে বিশ্বব্যাপী সাতটি যুদ্ধ বন্ধ করেছেন দাবি করে ট্রাম্প বলেন, তার নোবেল পুরস্কার পাওয়া উচিত। এর সঙ্গে সঙ্গে তিনি আবার বলেন, নোবেলের চেয়ে তার জন্য সবচেয়ে বড় পুরস্কার হলো যুদ্ধ বন্ধ করা। যেটির মাধ্যমে লাখ লাখ মানুষের জীবন রক্ষা করেছেন তিনি।

কিন্তু এতসব করেও জাতিসংঘ থেকে ‘খারাপ চলন্ত সিঁড়ি আর টেলিপ্রম্পটার পেয়েছি’ বলে অভিযোগ করেন তিনি।

ট্রাম্প বলেন, “এটি খুবই খারাপ যে জাতিসংঘের বদলে এগুলো আমাকে করতে হচ্ছে। দুঃখজনক যে জাতিসংঘ কিছু ক্ষেত্রে যুদ্ধ বন্ধে কোনো সাহায্যও করেনি।”

“জাতিসংঘের উদ্দেশ্যটা কি? বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখতে তাদের অপার সম্ভাবনা আছে। কিন্তু তারা তাদের সেই সম্ভাবনা ধারেকাছেও যেতে পারছে না। তারা বেশিরভাগ সময়ই খুব কড়া ভাষায় বিবৃতি দেয়। কিন্তু ওই বিবৃতি অনুযায়ী কাজ করে না।”- বলেন তিনি।

সূত্র: আলজাজিরা

এমআর 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
জাতিসংঘ সদর দপ্তরে শীর্ষ বিশ্বনেতাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক Sep 24, 2025
img
তারেক রহমানের নির্দেশে পূজামণ্ডপ পাহারার দায়িত্ব পালন করবে বিএনপি Sep 24, 2025
img
এবার পাল্টা ডিম নিক্ষেপ আ.লীগ নেতা জাহিদের বাড়িতে Sep 24, 2025
img
ভারত চায় না বাংলাদেশে সংস্কার ও বিচার হোক : চরমোনাই পীর Sep 24, 2025
img
সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি ও আমতলীর মহিলা লীগ নেত্রী ঢাকায় গ্রেপ্তার Sep 24, 2025
img
গালিটা শুধু ডা. তাসনিম জারাকে দেয়নি : সারজিস আলম Sep 24, 2025
img
নারায়ণগঞ্জে যুবলীগ ক্যাডার আপেল গ্রেপ্তার Sep 24, 2025
img
লিভারপুলকে থামানো অসম্ভব মনে হচ্ছে চেলসি কোচের Sep 24, 2025
img

লা লিগা

এমবাপের জোড়া গোলে লেভান্তেকে উড়িয়ে দিল রিয়াল মাদ্রিদ Sep 24, 2025
img
ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন Sep 24, 2025
img
ইসরায়েলকে ফুটবল থেকে নিষিদ্ধের আহ্বান জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞদের Sep 24, 2025
img
পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা Sep 24, 2025
img
পটুয়াখালীর সাবেক মেয়র ম‌হিউ‌দ্দিন গ্রেপ্তার Sep 24, 2025
ইতিহাসের অন্যতম বড় বিনিয়োগ পেল ওপেনএআই! | Sep 24, 2025
ইউএনডিপির মাধ্যমে ৪০০০০ বডি ক্যামেরা কেনার সিদ্ধান্ত সরকারের Sep 24, 2025
রাকসুর পর এবার পেছাল চাকসু নির্বাচনও Sep 24, 2025
শেষ ১৮ মিনিটে জুবিনের কার্যকলাপ ভাইরাল! Sep 24, 2025
img
জলবায়ু পরিবর্তন একটি ধাপ্পাবাজি, জাতিসংঘে বললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প Sep 24, 2025
নিউইয়র্ক মাতাবে পূজার উৎসবে জায়েদ ও ঋতুপর্ণার জুটি Sep 24, 2025
img
যুক্তরাষ্ট্রের সদস্যপদ স্থগিত করল আইসিসি Sep 24, 2025