যখন গাজায় সংঘাত ও পশ্চিম তীর দখল বন্ধে ইসরায়েলের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছে, তখন নেতানিয়াহুর প্রশাসনের কিছু সদস্য পশ্চিম তীর পুরোপুরি দখলের আহ্বান জানিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘ইসরায়েলকে পশ্চিম তীর দখলের অনুমতি দেবেন না’।
যুক্তরাজ্য ও জার্মানি বলেছে, তারাও ইসরায়েলকে এমন পদক্ষেপ না নেয়ার ব্যাপারে সতর্ক করেছে, আর জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ইসরায়েলের এমন উদ্যোগকে ‘নৈতিক, আইনগত এবং রাজনৈতিকভাবে অগ্রহণযোগ্য’ বলে উল্লেখ করেছেন।
পশ্চিম তীর—যা ইসরায়েল ও জর্ডান নদীর মাঝখানে অবস্থিত, মূলত ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, কিন্তু ১৯৯০-এর দশক থেকে একটি ফিলিস্তিনি সরকার, যাকে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বলা হয়, অঞ্চলটির বেশিরভাগ শহর ও নগর পরিচালনা করে আসছে।
২০২২ সালে ক্ষমতায় আসার পর, ইসরায়েল সরকার ওই অঞ্চলে বসতি সম্প্রসারণের পরিকল্পনা ঘোষণা করে। তারা ফিলিস্তিনিদের নিজস্ব রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অধিকার স্বীকার করে না এবং দাবি করে যে পশ্চিম তীর ইসরায়েলি মাতৃভূমির অংশ।
পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে প্রায় ১৬০টি ইসরায়েলি বসতি রয়েছে, যেখানে প্রায় ৭ লক্ষ ইহুদি বাস করে।
অপরদিকে, প্রায় ৩০ লক্ষ ফিলিস্তিনি পশ্চিম তীরে বসবাস করে বলে ধারণা করা হয় এবং তারা চায় সব ইসরায়েলি বসতি সরিয়ে নেয়া হোক। তবে, আন্তর্জাতিক আইনের দৃষ্টিতে এসব বসতি ‘অবৈধ’ হিসেবে বিবেচিত।
সূত্র: বিবিসি নিউজ।
এমআর/টিকে