উদ্বোধনের তিন মাস পেরিয়ে গেলেও প্রচারের অভাবে রাজধানীতে আশানুরূপ সাড়া পাচ্ছে না র্যাপিড পাস। যাত্রীদের অভিযোগ তাৎক্ষণিকভাবে কার্ডের তথ্য রিড করতে পারছে না পাঞ্চ মেশিন। এতে কার্ডধারী যাত্রীরা পড়ছেন বিড়ম্বনায়। ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) বলছে, ভবিষ্যতে যাত্রীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে বেশ কিছু নতুন ফিচার যুক্ত করা হবে র্যাপিড পাসে।
হাতিরঝিলে দেড় ঘণ্টা অপেক্ষার পর ১৬টি গাড়িতে মাত্র ৪ জন যাত্রীর দেখা পাওয়া যায়, যারা র্যাপিড পাস ব্যবহার করে ভাড়া পরিশোধ করছেন।
তাদের মধ্যে একজন নারী ও তিন জন পুরুষ। র্যাপিড পাস ব্যবহারে অনীহার কারণ হিসেবে সাধারণ যাত্রীরা জানান মিশ্র প্রতিক্রিয়া। রয়েছে সঠিকভাবে পাঞ্চ মেশিন কাজ না করার অভিযোগও।
যাত্রীদের অভিযোগ অনুযায়ী কার্ড পাঞ্চে জটিলতা ও মেশিনের দুর্বলতার প্রমাণও মিলল হাতেনাতেই।
কার্ডধারী একজন জানান, লাইন ধরতে হয় না। কার্ডটা পাঞ্চ করে গাড়িতে উঠতে পারছি। কোনো রকম ঝামেলা হচ্ছে না। এটা প্রচার বাড়ানো দরকার।
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এইচআর ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির কো অর্ডিনেটর মহসিন বিশ্বাস জানান, উদ্বোধনের পর থেকে গত ৩ মাসে চক্রাকার বাসে কার্ড ব্যবহারকারীর সংখ্যা খুব একটা বাড়েনি।
তিনি আরও বলেন, মেশিনটা রিড করতে গেলে অনেক সময় ধরে না। তখন একটু ধাক্কাধাক্কি হয় যাত্রীদের মধ্যে। মেশিনগুলো ডিটিসিএয়ের মাধ্যমে কেনা হয়েছে। কার্ডধারীর সংখ্যা খুব এটা বাড়েনি। ৩ মাস তো পার হলো। সব কিছু প্রচার প্রচারণার উপর নির্ভর করে, এটা বাড়লে আরও কার্ড বিক্রি হবে।
আপাতত বিআরটিসির ১০টি বাস ও হাতিরঝিল চক্রাকার বাসে র্যাপিড পাস ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে ওয়াটার বাসে এ সেবা বন্ধ আছে। গ্রাহকের সব অভিযোগ আমলে নিয়ে ত্রুটি সনাক্তে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান ডিটিসিএয়ের নির্বাহী প্রধান নীলিমা আখতার।
তিনি বলেন, ব্যাপকভাবে চালু করতে হলে ডিভাইস কানেক্টিভিটি বাড়াতে হবে। এটা কিন্তু ব্যয়বহুল। র্যাপিড পাসে হাফ ভাড়া করতে গেলে, এটা খুব কঠিন কাজ।
স্টেশন হিসেবে ভাড়া না কেটে কিলোমিটার হিসেবে ভাড়া আদায়ের কথা বলছেন যাত্রীরা। সেই সঙ্গে ভাড়া পরিশোধের টোকেন ও রিচার্জের প্রমাণ হিসেবে চেয়েছেন এসএমএস নোটিফিকেশনও।
আইকে/এসএন