সোশাল মিডিয়া কিংবা রাস্তাঘাটে প্রায়শই নারীদের হেনস্তার মুখে পড়তে হয়। যার জন্যে অনেকেই মহিলাদের সাজপোশাককে দায়ী করেন। বিষয়টা যেন খানিক জলভাতের মতোই হয়ে দাঁড়িয়েছে! স্কার্টের ঝুল, ব্লাউজের গভীরতা মাপা থেকে শুরু করে শাড়ির আঁচল সরে গিয়ে কেন নাভির অংশ বেরলো? বক্ষ বিভাজিকা উঁকি দিল? আতসকাচ যেন তৈরিই থাকে।
যার জেরে কখনও রাস্তাঘাটে প্রকাশ্যে আবার কখনও বা সোশাল মিডিয়ায় কদর্য আক্রমণের শিকার হতে হয় মহিলাদের। সেই প্রসঙ্গেই এবার সরব হলেন ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন।
মাসখানেক আগে শারীরিক গড়ন নিয়ে নিজেও সোশাল মিডিয়ায় কটাক্ষের শিকার হয়েছিলেন ঐশ্বরিয়া। বিশেষ করে, অভিনেত্রীর ওজন বাড়া নিয়ে বিস্তর কাটাছেঁড়া হয়েছিল নেটপাড়ায়।
একাংশ আবার তাঁর বেমানান সাজপোশাক নিয়েও কটু কথা বলেছিলেন। এবার নারীহেনস্তা নিয়ে গর্জে উঠলেন অভিনেত্রী। শুধু তাই নয়, রাস্তাঘাটে কীভাবে হেনস্তার মোকাবিলা করবেন নারীরা? সেই পাঠও দিলেন বচ্চনবধূ।
সম্প্রতি আন্তর্জাতিক খ্যাতনামাসম্পন্ন প্রসাধনী দ্রব্যের বিজ্ঞাপনী দূত হিসেবে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। সেখানেই তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়, রাস্তাঘাটে কীভাবে হেনস্তার মোকাবিলা করবেন মেয়েরা? বিন্দুমাত্র দেরি না করে ঐশ্বরিয়া পালটা প্রশ্ন ছোড়েন, “অপর প্রান্তের মানুষটির চোখের দিকে না তাকালেই পার পেয়ে যাবেন ভাবছেন? তাহলে বলি, একদম নয়।
মোকাবিলা করতে হেনস্তাকারীর চোখের দিকে সোজাসুজি তাকাতে শিখুন। মাথা উঁচু করে হাঁটুন। নারীদের আত্মবিশ্বাসের পাঠ দিতে বচ্চনবধূর সংযোজন, “আমার শরীর, আমার সম্পদ- ভাবতে শিখুন। নিজের মূল্যের সঙ্গে কখনও আপোস করবেন না। নিজেকে নিয়ে কখনও দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভুগবেন না। আত্মবিশ্বাস বজায় রাখুন। দরকারে নিজের জন্য নিজে উঠে দাঁড়িয়ে লড়ুন।
কিন্তু কখনও নিজের সাজপোশাক কিংবা লিপস্টিক শেডের দোষ দেবেন না। মনে রাখবেন, রাস্তাঘাটে হেনস্তার শিকার হলে সেটা কখনোই আপনার দোষ নয়।”
কেএন/টিকে