অভিবাসন নীতিতে বড় পরিবর্তন এনেছে অস্ট্রেলিয়া। পহেলা জুলাই থেকে কার্যকর হওয়া নির্দেশনায় বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা ফি ধার্য করা হয়েছে দুই হাজার ডলার। বাড়ানো হয়েছে জনপ্রিয় স্পন্সর ভিসার বেতন সীমাও।
পর্যটক, অভিবাসন প্রত্যাশী, শরণার্থী কিংবা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী, সবার কাছেই অস্ট্রেলিয়ার ভিসা যেন সোনার হরিণ। তিন দশকের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ থেকে অনেকেই অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমালেও দেশটিতে শিক্ষার্থীসহ প্রবাসী বাংলাদেশির সংখ্যা এক লাখেরও কম।
গত দুই বছরে রেকর্ড সংখ্যক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী উচ্চ শিক্ষার উদ্দেশ্যে অস্ট্রেলিয়ায় গেলেও চলতি বছর জুলাই থেকে অভিবাসন ক্ষেত্রে নতুন নীতিমালায় আবারও বাড়তে পারে ভিসা সংক্রান্ত জটিলতা।
পহেলা জুলাই থেকে কার্যকর হওয়া নির্দেশনায় শিক্ষার্থীদের ভিসা ফি ধার্য করা হয়েছে দুই হাজার ডলার, এমনকি বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে জনপ্রিয় স্পন্সর ভিসার বেতন সীমাও। পর্যটক ভিসা পদ্ধতি আপাত দৃষ্টিতে সহজ হলেও বাংলাদেশিদের জন্য ভিসার সাফল্যের হার কমেছে। অস্ট্রেলিয়ান সরকারের এসেসমেন্ট স্তরে বাংলাদেশ এখনও তিনে অবস্থান করায় শিক্ষার্থীদের ভিসার আবেদন প্রক্রিয়ায় জটিলতার সম্মুখীন হতে হয়।
তবে নতুন অভিবাসন নীতিতে আছে সুখবরও। দিল্লী নয়, এখন ঢাকার অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশন থেকেই ভিসার আবেদন ও কার্যক্রম শেষ করতে পারবেন বাংলাদেশিরা। এতে বাঁচবে সময় ও খরচ।
ইংরেজি ভাষায় দক্ষতাসহ অন্যান্য শর্তে আগাম প্রস্তুতি নিলে ভিসা আবেদনে সাফল্য পাওয়া কঠিন নয় বলে মনে করছেন দেশটিতে বসবাসরত শিক্ষার্থীরা।
আরআর/এসএন