পপ সংগীতের সুপারস্টার ডুয়া লিপা শুক্রবার (২২ আগস্ট) পা রাখলেন ৩০ বছরে। এক শরণার্থী পরিবারের সন্তান হয়েও তিনি আজ বিশ্ব সংগীতের অন্যতম উজ্জ্বল তারকা, সফল গায়িকা, অভিনেত্রী এবং শত কোটি টাকার মালিক।
ডুয়া লিপার বাবা-মা কসোভো যুদ্ধের সময় আটকে পড়েন নিজ দেশে। ১৯৯২ সালে তারা শরণার্থী হয়ে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান, আর সেখানেই ১৯৯৫ সালে জন্ম হয় ডুয়ার। লন্ডনের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে বেড়ে ওঠা এই কিশোরী পরিশ্রম, অধ্যবসায় ও প্রতিভার জোরে বিশ্বসংগীতে এনে দিয়েছেন নতুন মাত্রা।
মাত্র ১৫ বছর বয়সে তিনি ভর্তি হন সিলভিয়া ইয়ং থিয়েটার স্কুলে। ওয়েট্রেস ও মডেলিংয়ের কাজের পাশাপাশি ইউটিউব ও সাউন্ডক্লাউডে নিজের গান প্রকাশ করতেন নিয়মিত। ২০১৩ সালে একজন এজেন্টের সঙ্গে চুক্তি এবং পরের বছর ওয়ার্নার ব্রাদার্সের সঙ্গে কাজ শুরু করেন।
২০১৫ সালে প্রথম একক গান প্রকাশের পর ২০১৭ সালে আসে তার আত্মনামক অ্যালবাম ‘ডুয়া লিপা’। ‘নিউ রুলস’ ও ‘আই ডোন’ট গিভ আ এফ’-এর মতো হিট গান বিশ্বব্যাপী আলোড়ন তোলে, এনে দেয় গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড ফর বেস্ট নিউ আর্টিস্ট।
২০২০ সালে মুক্তি পাওয়া ‘ফিউচার নস্টালজিয়া’ অ্যালবাম তাকে পৌঁছে দেয় ক্যারিয়ারের শীর্ষে। এর গান ‘ডোন’ট স্টার্ট নাউ’ ও ‘লেভিটেটিং’ আন্তর্জাতিক চার্টে ঝড় তোলে, আর অ্যালবামটি জিতে নেয় গ্র্যামি ও ব্রিট অ্যাওয়ার্ডস।
বর্তমানে তিনি তার তৃতীয় অ্যালবাম ‘র্যাডিক্যাল অপটিমিজম’-এর বিশ্ব সফরে ব্যস্ত। ‘র্যাডিক্যাল অপটিমিজম ট্যুর’-এর মাধ্যমে ইউরোপ, এশিয়া ও আমেরিকার নানা দেশে কনসার্ট করছেন তিনি।
শুধু সংগীত নয়, অভিনয়েও সাফল্যের ছাপ রেখেছেন ডুয়া। ২০২৩ সালে ‘বার্বি’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক, এরপর ‘আর্গাইল’ চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেন তিনি।
আজকের দিনে তার সম্পদের পরিমাণ বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১২ হাজার ৪২০ কোটি টাকা। দ্য সানডে টাইমস প্রকাশিত ‘ফোরটি আন্ডার ফোরটি রিচ লিস্ট’-এ তিনি অবস্থান করছেন ৩৪তম স্থানে।
শরণার্থী থেকে বিশ্বতারকা হয়ে ওঠার এই যাত্রা প্রমাণ করে- প্রতিভা, অধ্যবসায় ও আত্মবিশ্বাস থাকলে যেকোনো প্রতিকূলতা জয় করা সম্ভব। ডুয়া লিপার জীবনকাহিনি তাই নতুন প্রজন্মের জন্য এক অনন্য অনুপ্রেরণা।
এমকে/টিকে