দীর্ঘ অসুস্থতার পর না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন প্রখ্যাত পাকিস্তানি সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি, টেলিভিশন ও মঞ্চ অভিনেতা আনোয়ার আলী।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) দেশটির লাহোরের একটি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে তার। মৃত্যুকালে ৭১ বছর বয়স হয়েছিল এ অভিনেতার।
সংবাদমাধ্যম বোল নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দীর্ঘদিন ধরে ফুসফুস, কিডনি ও হৃদরোগে ভুগছিলেন অভিনেতা আনোয়ার আলী। এ অবস্থায় গত ৩১ আগস্ট হঠাৎ শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় তার। পরে হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানেই মারা যান অভিনেতা।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) জোহরের পর লাহোরের মডেল টাউন লিংক রোডে জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা আনোয়ার আলীর।
অভিনেতা আনোয়ার আলী ছিলেন একজন বিখ্যাত কৌতুকাভিনেতা ও অভিনয়শিল্পী। যিনি ক্যারিয়ারে চার দশকেরও বেশি সময় ধরে কাজ করেছেন ইন্ডাস্ট্রিতে।
এ কিংবদন্তি অভিনেতার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি আসিফ আলী জারদারি। একইসঙ্গে তারকার শৈল্পিক কাজের প্রতি শ্রদ্ধাও জানিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি বলেন, শিল্পকলায় আনোয়ার আলীর অবদান সবসময়ের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে। শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানোসহ তাদের ধৈর্য কামনাও করেন রাষ্ট্রপতি।
এর আগে গত আগস্টে জানা যায়, আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে আনোয়ার আলীকে। দীর্ঘদিন ধরেই স্ট্রোক ও হৃদরোগজনিত জটিলতায় ভুগছেন তিনি। তখন পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, তিনদিন ধরে অবস্থার শুধু অবনতি হচ্ছে। এ কারণে জরুরিভিত্তিতে একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে।
প্রসঙ্গত, আনোয়ার আলীকে ‘সোন চণ্ডী’, ‘জঞ্জাল পুরা’, ‘নিশানি’ (১৯৭৯) এবং ‘খুদা বখশ’ (১৯৮৯)-এর মতো জনপ্রিয় নাটকে দেখা গেছে। এসব নাটকে তার স্মরণীয় চরিত্র দেশটির টেলিভিশন ইতিহাসে তার অবস্থান সুদৃঢ় করে। পরবর্তী সময়ে কমেডি টিভি শো, বিশেষ করে ‘খবরনাক’ (২০১০)-এ বেশ আলোচনার সৃষ্টি করেছিলেন এ অভিনেতা।
পিএ/টিএ