আবরার হত্যা: স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন অনিক

বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় রিমান্ডে থাকা এজাহারভুক্ত আসামি অনিক সরকার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

শনিবার অনিককে ঢাকার আদালতে নিয়ে তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেয়ার আবেদন জানায় মামলা তদন্তের দায়িত্বে থাকা ডিবি। বুয়েট ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পঞ্চদশ ব্যাচের শিক্ষার্থী। আবরারের বাবার করা মামলায় আসামি হওয়ার পর তাকে বহিষ্কার করে ছাত্রলীগ।

অনিক সরকার ১৬৪ ধারায় জবাববন্দি দিয়েছেন। মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলাম তার খাস কামরায় আসামির জবানবন্দি নেন বলে জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ফজলুর রহমান।

এই হত্যামামলায় এর আগে বুয়েটছাত্র মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন ও ইফতি মোশাররফ সকাল স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

অনিক জবানবন্দিতে কী বলেছেন- জানতে চাইলে উপ-কমিশনার ফজলুর বলেন, ‘১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। কী বলেছে, সেটা জানি না।’ জবানবন্দি নেয়ার পর অনিককে কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়।

মাজেদুর রহমানের পাঁচ দিনের রিমান্ড

এদিকে গ্রেপ্তার আরেক আসামি মাজেদুর রহমান নওরোজকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ।

মাজেদুল ইসলামকে শুক্রবার সিলেট থেকে গ্রেপ্তার করে শনিবার আদালতে হাজির করা হলে তিনি জানান, তার নামটি ভুল বলেছে পুলিশ।

এই বুয়েটছাত্র সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার নাম মাজেদুর রহমান নওরোজ। পুলিশ ভুল করে মাজেদুল ইসলাম লিখেছে।’

আবরারের বাবা ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় যে মামলাটি করেন, সেখানে আসামির তালিকায় ৮ নম্বরে মাজেদুল ইসলামের নাম রয়েছে।

আদালতে মাজেদ বলেন, ‘সিসি ক্যামেরার ফুটেজে আমাকে দেখা গেছে কি না, জানি না। আহত অবস্থায় আবরারকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়ার দলে আমিও ছিলাম।’

ওই সময় বুয়েট ছাত্রলীগের আইনবিষয়ক উপ সম্পাদক অমিত সাহা হলে ছিলেন না বলে দাবি করেন মাজেদ।

মামলার এজাহারে নাম না থাকলেও অমিত ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

মাজেদকেও ১০ দিনের জন্য হেফাজতে চেয়েছিল ডিবি। তাদের আবেদনের শুনানি করে পাঁচ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন মহানগর হাকিম নিভানা খায়ের জেসী। আদালতে মাজেদের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।

 

টাইমস/এসআই

Share this news on:

সর্বশেষ