‘উপদেষ্টা মাহফুজকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা কোনোভাবেই প্রত্যাশিত নয়’

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লিখেছেন, একজন রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধি হিসেবে মাহফুজ আলম সমস্যা সমাধানে গিয়েছিলেন, তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা কোনোভাবেই প্রত্যাশিত নয়।

বুধবার (১৪ মে) রাতে তিনি লিখেন, ‘এ কথা স্পষ্টভাবে মনে রাখা প্রয়োজন-আপনাদের প্রতিনিধিত্বের দাবি বলেই তিনি আপনাদের কাছে এসেছেন। কিন্তু এ ধরনের উগ্র ও হঠকারী আচরণ ভবিষ্যতে কোনো ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে না, বরং গণতান্ত্রিক আন্দোলনের গ্রহণযোগ্যতাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করবে।’

‘মাহফুজ আলম আইনি পথে হাঁটবে কি না জানি না, তবে আন্দোলনের নেতৃত্বের উচিত প্রকাশ্যে দুঃখ প্রকাশ করা এবং ভবিষ্যতে এমন ন্যক্কারজনক আচরণ পুনরাবৃত্তি না হওয়ার নিশ্চয়তা দেওয়া।’

‘সমালোচনা গণতান্ত্রিক অধিকার—কিন্তু শারীরিক লাঞ্ছনা বর্বরতা, এবং সেটির কোনো যুক্তিসংগত ব্যাখ্যা নেই।’

তিনি আরও লিখেন, ‘অন্যদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের আচরণও সন্দেহজনক। সকল জনদাবির সম্মুখে ছাত্র উপদেষ্টাদের ঠেলে দিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টারা নিজেদের দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা স্পষ্ট। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বারবার আশ্বাস দেওয়া হলেও সেটির বিষয়ে কেন এখনও যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি, সেটিও এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে স্পষ্ট করতে হবে।’

উল্লেখ্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবিতে আন্দোলনের বিষয়ে কথা বলার সময় বুধবার রাতে শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের মাথায় পানির বোতল ছুঁড়ে মারার ঘটনা ঘটে।

বক্তব্যের শুরুতে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা ন্যায্য দাবি নিয়ে মাঠে নেমেছেন। এ বিষয়ে আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হবে।’

এরপর দুপুরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের কথা তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, ‘আজকে কিছু পুলিশ সদস্য হয়তো উসকানি.. একথা বলতেই শিক্ষার্থীরা ভুয়া ভুয়া বলে চিৎকার করেন। এরমধ্যে হঠাৎ করে কিছু একটা মাথায় পড়তে দেখা যায়।

এরপর উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, ‘আমি আর কথা বলব না।’ পরে পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যে তিনি প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার দিকে চলে যান।

আরএম/টিএ


Share this news on:

সর্বশেষ

img
ঢাকায় সোহাগ হত্যার দায় তারেক জিয়াকে গ্রহণ করতে হবে : ফয়জুল করীম Jul 12, 2025
img
চাঁদাবাজির অভিযোগে যুবদলের সাবেক নেতা ফাহিম বহিষ্কার Jul 12, 2025
img
বাজবল ছাড়তে ইংল্যান্ডকে বাধ্য করেছে ভারত : অশ্বিন Jul 12, 2025
img
শুটিং শুরু না হওয়ায় পেছাতে পারে ভিকি কৌশলের 'মহাবতার'! Jul 12, 2025
img
‘কাভালা’ গানের রেশ ধরে আবার রজনীকান্তের পাশে তামান্না! Jul 12, 2025
img
অপরাধীরা ক্ষমতার পরিবর্তনে নিজেদের রাজনৈতিক পরিচয় বদলায়: জিল্লুর রহমান Jul 12, 2025
img
৭০'র দশকের গ্যাংস্টার গল্প নিয়ে ফিরছেন সঞ্জয় দত্ত, টিজারেই বাজিমাত Jul 12, 2025
মিটফোর্ডে সোহাগকাণ্ড: আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে Jul 12, 2025
img
হাসিনার মতো অপরাধীদের প্রটেকশন দেয় না বিএনপি : রিজভী Jul 12, 2025
img
ট্রেলার ছাড়াই রাজত্ব শুরু করছে রাজিনীকান্তের ‘কুলি’! Jul 12, 2025
img
ফ্যাসিবাদের পতন হলেও বাংলাদেশ পুরোপুরি ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়নি: মৎস্য উপদেষ্টা Jul 12, 2025
img
তৈরি পোশাক রপ্তানি খাতে ৮.৮৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন Jul 12, 2025
img
মিডফোর্ডেরে ঘটনায় চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ মিছিল Jul 12, 2025
img
চাঁদপুরে খতিবের ওপর হামলা, অভিযুক্ত বিল্লাল কারাগারে Jul 12, 2025
পুরনো ‘বন্দোবস্তের’ বিরুদ্ধে নাহিদের কঠোর হুঁশিয়ারি Jul 12, 2025
img
নড়াইলে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১ Jul 12, 2025
img
৫ আগস্টের পর সবাই বিএনপি হয়ে গেছে, এখন মঞ্চে জায়গা পাই না: দুলু Jul 12, 2025
img
মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার বিচার দাবিতে পদ্মা সেতুর টোল প্লাজা অবরোধ Jul 12, 2025
img
মিটফোর্ডের হত্যাকাণ্ড আইয়ামে জাহিলিয়াতকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে : চরমোনাই পীর Jul 12, 2025
img
ইউরোপীয় ইউনিয়নের উপর ৩০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা ট্রাম্পের Jul 12, 2025