বাজারে ভুয়া ও অননুমোদিত আমদানিকৃত পণ্যের ব্যাপক বিস্তারের কারণে জনস্বাস্থ্য, বিশেষ করে শিশুদের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে—এমন উদ্বেগ জানিয়ে আমদানিকৃত পণ্যের জন্য কেন্দ্রীয় অনলাইন যাচাইকরণ ব্যবস্থা চালুর নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। একই সঙ্গে এসব পণ্যে কিউআর কোড সংযুক্তকরণ বাধ্যতামূলক করার দাবিও জানানো হয়েছে রিটে।
রবিবার (২০ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মনিরুল ইসলাম মিয়া ১০ জন আইনজীবীর পক্ষে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদনটি দায়ের করেন। তিনি জানান, রিটটি বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হবে।
রিট আবেদনে বলা হয়েছে, বাজারে অনুমোদনহীন ও ভুয়া আমদানিকৃত পণ্য অবাধে বিক্রি হচ্ছে। এতে শুধু জনস্বাস্থ্য ঝুঁকির মুখে পড়ছে না, সরকারও বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে। বিশেষ করে শিশুদের স্বাস্থ্য সবচেয়ে বেশি হুমকির মধ্যে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আমদানিকৃত প্রতিটি পণ্যে কিউআর কোডের মাধ্যমে যাচাইকরণ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা এবং অনুমোদিত আমদানিকারকদের একটি জাতীয় ডাটাবেস গড়ে তোলার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেওয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা ও ব্যর্থতাকে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছে।
রিটে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয় সচিব, আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান এবং বিএসটিআই মহাপরিচালককে বিবাদী করা হয়েছে।
রিটকারীদের মধ্যে রয়েছেন মো. মনিরুল ইসলাম মিয়া, মো. রোকনুজ্জামান, রাগিব কবির, আবু শাহেদ, রেহেমিন চৌধুরী, আরফান সুলতানা, মো. সাইফুল ইসলাম, হাসান ইসহাক ভূঁইয়া, মো. আরিফ চৌধুরী এবং উম্মে আইমান জেনিব।
রিটকারী আইনজীবী মো. মনিরুল ইসলাম মিয়া বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, 'বর্তমানে বাজারে যেভাবে যাচাইবিহীন ও ক্ষতিকর পণ্য ছড়িয়ে পড়ছে, তাতে করে বিশেষ করে শিশুদের স্বাস্থ্য মারাত্মকভাবে হুমকির মধ্যে পড়ছে। একটি কেন্দ্রীয় অনলাইন যাচাইকরণ ব্যবস্থা চালু ও কিউআর কোড বাধ্যতামূলক করা হলে এই অনিয়ম রোধ করা সম্ভব।'
টিএ/